ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, ৩৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনিসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংকের এক হাজার আট কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান গতকাল রোববার কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন। গতকাল দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
এজাহারে বলা হয়, ঋণ দেওয়া হয় ইসলামী ব্যাংকের পাবনা জেলা শাখায়। নাবিল গ্রুপের কর্মচারীর নামে কাগুজে প্রতিষ্ঠান ‘জামান সিন্ডিকেট’ খুলে এক হাজার ৪৫ কোটি টাকা বাই-মুরাবাহা টিআর বিনিয়োগ প্রস্তাবনা, সুপারিশ ও অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা অসদাচরণ, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি করে ব্যাংকের টাকা প্রতারকদের হাতে তুলে দেওয়ার সব আয়োজন করেছেন।
অনুমোদিত টাকার মধ্যে এক হাজার আট কোটি টাকা বিতরণ করে আত্মসাৎ করা হয়। এতে অর্থের উৎস ও প্রকৃতি গোপন করার জন্য স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং অপরাধ করা হয়েছে। আসামিরা দণ্ডবিধি ১৮৬০ সালের ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ৪(২) এবং ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– এস আলম ভেজিটেবল অয়েলের এমডি সহিদুল আলম, চেয়ারম্যান ফারজানা পারভীন, এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারহোল্ডার মো. আব্দুল্লাহ হাসান, সেঞ্চুরী ফ্লাওয়ার মিলসের এমডি মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ হাছানুজ্জামান, এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের এমডি মিশকাত আহমেদ, চেয়ারম্যান শাহানা ফেরদৌস, ইসলামী ব্যাংক পাবনা জেলা শাখার ভিপি ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোহা. শাহজাহান, সাবেক এডিপি ও অপারেশন ম্যানেজার মো. আব্দুল আওয়াল, রাজশাহীর ইভিপি ও জোনাল হেড মো. মিজানুর রহমান মিজি, পাবনা শাখার সিনিয়র অফিসার ও ডিলিং অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক-১ ও সাবেক বিনিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ কায়সার আলী, এসইভিপি, আইএমডব্লিও, সদস্য, আইসি-১ মো. আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।


