South east bank ad

মাইলফলক অর্জন করল জিইর এইচএ গ্যাস টারবাইন ফ্লিট

 প্রকাশ: ১১ অগাস্ট ২০২১, ০২:২৮ অপরাহ্ন   |   কর্পোরেট

মাইলফলক অর্জন করল জিইর এইচএ গ্যাস টারবাইন ফ্লিট
গ্যাস টারবাইন প্রযুক্তিতে জনপ্রিয় জিইর এইচ ক্লাস হেভি ডিউটি গ্যাস টারবাইন ফ্লিট সম্প্রতি ২০টি দেশের ৫০টি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অর্ডার সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি ২৬ গিগাওয়াটেরও অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ১০ লাখ পরিচালনা ঘণ্টা নিশ্চিত করেছে। ২০১৪ সালে এইচএ গ্যাস টারবাইনের যাত্রা শুরুর পর থেকে ২০১৬ সালে বাণিজ্যিকভাবে বিরাট সফলতা অর্জন ছাড়াও নির্গমন কম, দক্ষতা বাড়ানো, কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করেছে। 

জিইর হেভি ডিউটি গ্যাস টারবাইনের পণ্য ব্যবস্থাপনা প্রধান অমিত কুলকারনি বলেন, “শক্তি রূপান্তরের জটিলতা দূর করতে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালকদের সাহায্য এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন শিল্পে অন্যতম ভূমিকা রাখছে জিইর এইচ ক্লাস টারবাইন। বর্তমান সময়ে নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের পাশাপাশি এটি ভবিষ্যতেও শক্তিশালী স্থান ধরে রাখতে সক্ষম। গ্যাস নবায়নযোগ্য শক্তির পরিপূরক হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত। তাই কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচেষ্ট জিই। এইচএর পার্টনারদের সঙ্গে নিয়ে ‘১০ লাখ পরিচালনা ঘণ্টা’র মাইলফলক অর্জনের পাশাপাশি কাজের প্রেরণা এবং অগ্রগতি নিয়ে আমরা গর্বিত।”  

২০২১ সালে দক্ষিণ মালয়েশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র সাউদার্ন পাওয়ার জেনারেশনের ১.৪-জিডব্লিউ ট্র্যাক৪এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহূত হয় জিই ৯এইচএ.০২ গ্যাস টারবাইন। এ মডেল পাওয়ার ম্যাগাজিন-এ ‘২০২১ পাওয়ার প্লান্ট অব দ্য ইয়ার’ এবং ডিজেল অ্যান্ড গ্যাস টারবাইন ওয়ার্ল্ডওয়াইডে ‘পাওয়ার প্লান্ট অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়। মডেলটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জলবায়ু সচেতনতা, শক্তি সাশ্রয় এবং বিদ্যুৎ চাহিদাসম্পন্ন নির্ভরযোগ্যতার ভারসাম্য রক্ষায় সক্ষম। চীনের হুয়াদিয়ান কর্পের জুলিয়াংচেং প্লান্ট কয়লার ব্যবহার বর্জন করে এইচএ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। এতে প্রতিষ্ঠানটি পাওয়ার ম্যাগাজিনের ‘রিইনভেনশন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করে।
সম্প্রতি নতুন এইচএ-পাওয়ার্ড পাইলট প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছে জিই, যেখানে হাইড্রোজেন অপারেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা তুলে ধরা হয়েছে। জিইর এইচ ক্লাস গ্যাস টারবাইন বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে মিশ্রিত হাইড্রোজেনের পরিমাণ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পোড়ানোর ক্ষমতা রাখে। এ ক্ষমতার উৎস হলো ডিএলএন২.৬ই কম্বাসশন সিস্টেম, যা ৯এইচএ.০১, ৯এইচএ.০২ ও ৭এইচএ.০৩ গ্যাস টারবাইনগুলোয় বিদ্যমান। 

তবে গ্যাস টারবাইনগুলোকে কার্বনহীন করে তুলতে শুধু হাইড্রোজেনই নয়, জিইর এইচ ক্লাসের সম্মিলিত সাইকেল প্লান্টও ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এর দ্বারা একটি পোস্ট-কম্বাস্ট ক্যাপচার সিস্টেমের মাধ্যমে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্বন নির্গমন করা সম্ভব।   

দক্ষিণ এশিয়ার জিই গ্যাস বিদ্যুতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) দীপেশ নন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশে আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিতে এবং জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মেঘনা ঘাটে আসন্ন দুটি সম্মিলিত সাইকেল গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে জিইর ৯এইচএ.০১ গ্যাস টারবাইন। এর মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।’
BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: