করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় আইপিডিসির ঋণসেবা চালু

কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় আইপিডিসি আরোগ্য নামে একটি নতুন ঋণসেবা চালু করল আইপিডিসি ফাইন্যান্স। করোনা মহামারির ভয়াবহ সময়ে প্রিয়জনকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়াই পরিবারের সর্বোচ্চ চাওয়া। এ চাওয়া পূরণেই কভিড-১৯ চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা করবে আইপিডিসির নতুন এ সেবা।
আইপিডিসি আরোগ্য ঋণ দুইভাবে দেওয়া হবে। আইপিডিসিতে ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট আছে এমন গ্রাহকরা কোনো স্প্রেড রেট ছাড়াই এ ঋণ পাবেন। আর যদি কারও আইপিডিসিতে ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে তাকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে তিনি চলমান কস্ট অব ফান্ডের রেটে ঋণ পাবেন। এটি ব্যক্তিগত ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে। কভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হলে আইপিডিসি আরোগ্য লোন নেওয়া যাবে। তবে কভিড রোগীকে আবেদনকারীর পরিবারের সদস্য (মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী) হতে হবে।
আইপিডিসি আরোগ্যতে সর্বনিম্ন ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা ও ডিপোজিটের বিপরীতে ঋণ নিলে ফিক্সড ডিপোজিটের ৮০ শতাংশ অথবা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা। এসওডির ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২ মাস। ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সময়সীমা ৩৬ মাস।
নতুন এ ঋণ সেবা সম্পর্কে আইপিডিসির হেড অব রিটেইল বিজনেস সাভরিনা আরিফিন বলেন, একটি দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইপিডিসি সবসময়ই চেষ্টা করে এর সেবার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অবদান রাখতে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে সময়োপযোগী সেবা দেওয়ার এমনই একটি উদ্যোগ আইপিডিসি আরোগ্য। এ লোন সেবা কভিডের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আর্থিক বাধা দূর করে অনেক পরিবারের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে—এটাই আমাদের আশা।
মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে এর আগেও বিভিন্ন ধরনের জনহিতকর কার্যক্রম নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স। আইপিডিসি আরোগ্য সেই তালিকায় একটি নতুন সংযোজন।