এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংলাপ

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। এতে রফতানি আয় কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতের আয় ৪ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় এলডিসি-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রফতানিতে দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংলাপ থেকে গতকাল রোববার ১১ জুলাই ২০২১ইং তারিখ এমন মতামত তুলে ধরেন বিশ্লেষকরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর সহায়তায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এ সংলাপের আয়োজন করে। ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে রফতানি বহুমুখীকরণে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নির্ধারণ: প্রেক্ষিত নীতিমালা সংস্কার’ শীর্ষক সংলাপটি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এএইচএম আহসান। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। নির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে এএইচএম আহসান জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৮.৭৫ বিলিয়ন ডলার। এখানে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮১ শতাংশ। যেখানে আগের বছরে মোট রফতানিতে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ছিল ৮৪ শতাংশ। এ থেকে বোঝা যায়, তৈরি পোশাক খাতের বাইরের সম্ভাবনাময় খাতগুলো এগিয়ে এসেছে।
মূল বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাট ও পাটজাত পণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক সেবা, ওষুধ, কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ, চমড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রভৃতি বৈদেশিক রফতানিতে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। তবে তা কাজে লাগানোর জন্য সহায়ক নীতিমালা প্রয়োজন। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, এলডিসি-পরবর্তী সময়ে আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি নতুন সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে আমাদের রফতানির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুতি নেওয়া ও প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রণয়ন করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
সংলাপে অন্যদের মধ্যে আরও অংশ নেন এনবিআর সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাইক্রো ফাইন্যান্স) ড. মো. খাইরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।