করোনায় একদিনে ১৮৭ জনের মৃত্যু

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৫ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৬৯৭ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জনে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৫৬৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ৬৯ হাজার ৬১০ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩৮ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০ টি, জিন এক্সপার্ট ৫১ টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৫৭ টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৫ হাজার ৬২৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৯৭৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৭ টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৮৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৭ জন ও ৭০ জন নারী। ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৭৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, খুলনা বিভাগে ৪৪ জন, বরিশাল বিভাগে ১১ জন, সিলেট বিভাগে চারজন, রংপুর বিভাগে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে আটজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চার জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৬৮৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৭৭৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৭ হাজার ৬০৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।