রাজশাহী পৌঁছাতে পারলো না প্রসূতি, চলন্ত ট্রেনেই শিশুর জন্ম

আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো) :
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে সন্তান জন্মদানের উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ট্রেনযোগে রাজশাহীতে আসছিলেন এক প্রসূতি মা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি এই মা। ট্রেনে উঠতেই শুরু হয় প্রসব বেদনা। এরপর চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই প্রসূতি এই মা জন্ম দেন ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ‘সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে মা ও নবজাতক দু’জনই সুস্থ রয়েছেন। ট্রেনটি রাজশাহী রেলেওয়ে স্টেশনে আসার পর মা ও নবজাতককে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর উৎসুক জনতা রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে ওই মা ও নবজাতককে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়।
সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা জানান, সন্তান প্রসবের জন্য স্বজনদের সঙ্গে রামেক হাসপাতালে আসছিলেন অন্তঃসত্ত্বা সাবিনা ইয়াসমিন। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সাগর সাগরদাঁড়ি ট্রেনটিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে উঠেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেনটি নাটোরের আব্দুলপুর স্টেশনের কাছে এলে ওই প্রসূতি সন্তান প্রসব করেন। তিনি সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ছ’ বগিতে ছিলেন। ট্রেনে ওঠার পরপরই তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি ট্রেনের কন্ডাক্টিং গার্ড রুবায়েত হাসান জানতে পারেন। তিনি বিষয়টি গার্ড ইনচার্জ আজিমুল হোসেনকে জানালে ট্রেনের মাইকে সন্তান প্রসবের ব্যাপারে একজন চিকিৎসকের সাহায্য চাওয়া হয়।
এদিকে ট্রেনের মাইকে ঘোষণা শুনে একজন নারী চিকিৎসক ট্রেনের নির্ধারিত কামরায় গিয়ে ওই নারীর সন্তান প্রসব করান। সন্তান প্রসবের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সন্তানসহ তিনি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান। পরে তাকে রেলওয়ে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাজশাহীর জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুর ইসলাম জানান, প্রসূতি ও তার সন্তান দু’জনই সুস্থ রয়েছেন। এরপরও বাড়তি সতর্কতার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।