করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কল্পে ফরিদপুর জেলা পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ কল্পে ফরিদপুর জেলা পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে । ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন স্থানে আটক ও জরিমানা করা হচ্ছে । ফরিদপুর জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) -এর ক্রমবর্ধিষ্ণু সংক্রমন প্রতিরোধে দেশের অভ্যন্তরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে গত ১ জুলাই ২০২১ইং তারিখ সকাল ৬টা থেকে ১৪ জুলাই ২০২১ইং তারিখ বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা বিধি-নিষেধ আরোপ করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যেগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানকল্পে বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক পুলিশি ব্যবস্থা নিয়েছে। কঠোর বিধি-নিষেধ পালনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ফরিদপুর জেলা সদরে কোতয়ালী থানা ও অন্যান্য ৮টি থানা এলাকায় মোট ১২টি চেকপোস্ট ও ২৯ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠনের মাধ্যমে নিরলসভাবে ফরিদপুর জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
ফরিদপুর জেলা পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যা ব, বিজিবি এবং বাংলাদেশ আনসারের সদস্য মোতায়েন রয়েছে। গতকাল ১২ জুলাই ২০২১ইং তারিখ সকাল ৬টা থেকে জেলা পুলিশ বিভিন্ন পোস্টে মোতায়েন হয়ে কাজ করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর সংক্রমন রোধকল্পে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মাইকিংসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ফরিদপুর জেলায় সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করায় গত ১১ জুলাই ২০২১ইং বিকাল ৪টা থেকে গতকাল ১২ জুলাই ২০২১ইং বিকাল ৪টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কোতয়ালী থানা এলাকায় ৪ জনকে ১৭০০ টাকা, ভাংগা থানা এলাকায় ৫ জনকে ১১০০ টাকা, সালথা থানা এলাকায় ৪ জনকে ২০০০ টাকা, নগরকান্দা থানা এলাকায় ২০ জনকে ৭২০০ টাকা, সদরপুর থানা এলাকায় ৫ জনকে ৩৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৮ জনকে ১৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক ৩ জনকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আটকের আগে আদালতে পাঠানো হয়। মধুখালী থানা পুলিশ ১০ টি অটোগাড়ি, ৩ টি মাহিন্দ্র এবং নগরকান্দা থানা পুলিশ ৬টি ভ্যান ও ৩ টি অটো গাড়ি আটক করে।
ফরিদপুর জেলা পুলিশ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশন নিশ্চিতকল্পে প্রতিটি থানায় ২ জন করে পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত টিম প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি (পিপিই) পরিধান করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দূর থেকে হেলার দিয়ে ঘোষণা করে সর্তকতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের বাড়ির মানুষজন যেন সচেতন থাকে সে বিষয়েও প্রচারণা চালাচ্ছেন এ করোনা টিম।
আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেন এলাকার মানুষ নিজেরাই নিরাপদ দূরত্বে থাকতে পারে। কোভিড-১৯ এর সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ করছেন। অতি জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হবেন তাদেরকে পরিচয়পত্র, জরুরি প্রয়োজনের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে বের হওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও কাগজপত্রাদি যেমন: হেলমেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন পেপার ইত্যাদি সঙ্গে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়।