ছাত্র-জনতার নামে সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্য চলছে

ছাত্র-জনতার নাম করে সন্ত্রাসীরা নৈরাজ্য চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, শক্ত হাতে নৈরাজ্য রুখে দেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের হলরুমে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যেখানে দেখা গেছে, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের নামেও বিভিন্ন সময় হামলা হয়েছে।
আমরা আরেকটু তদন্ত আগালে বুঝতে পারব, এগুলোর পেছনে কোনো রাজনৈতিক এলিমেন্ট আছে কি না। রাজনৈতিক এলিমেন্ট থাকলেই যে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তা-ও নয়, অনেকে তো ইন্ডিভিজুয়াল ক্যাপাসিটি গিয়ে এগুলো করে, এ রকম অনেক হয়। এগুলো আমরা স্ট্রিকলি হ্যান্ডল করব।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে একটা সমাজ চলতে পারে না।
আমরা চেষ্টা করছি যতটা পারা যায়, দমন করা যায়। পুলিশ যখনই খবর পাচ্ছে তখনই নিবৃত করার চেষ্টা করছে। এখন এই সুযোগে অনেক অপরাধীও ছাত্র-জনতার নাম দিয়ে এই কাজটা করছে। যেটা গুলশানে আমরা দেখেছি।
আমরা অনেককেই ধরেছি। সব লোক যদি আইনের আওতায় আনতে পারি, তাহলে অন্যরা এই কাজ থেকে বিরত থাকবে।’
বাহারুল আলম বলেন, অপরাধে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় এনে ও তাঁদের সরিয়ে দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে স্বগৌরবে ফিরিয়ে আনা হবে। এ ছাড়া মানুষের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
কর্মশালায় অংশ নেন বিভাগের আট জেলার বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বাহারুল আলম বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে যারা অপরাধী (পুলিশ) তাদের বিচারের আওতায় এনে ও সরিয়ে দিয়ে পুলিশকে আবার স্বগৌরবে ফিরিয়ে আনা, কর্মক্ষম করে তোলা ও পুলিশকে আবার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আমরা চেষ্টা করছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এটা আবেগের বিষয়। হয়তো তাদের অতীত স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়, যখন পুলিশ অন্যায়ভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ করেছে। অন্যায় আচরণ করেছে। নাগরিক সমাজের প্রতি আমার অনুরোধ, পুলিশকে আপনারা কাছে টেনে নিন এবং তাদের কাজ করতে সহায়তা করুন।’