পদ্মাসেতু আত্মমর্যাদা, সাহস ও এগিয়ে যাওয়ার নাম: নৌপ্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মাসেতু একটি আত্মমর্যাদার নাম, একটি সাহসের নাম, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার নাম।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু আমাদের অহংকার। এটি আমাদের মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করেছেন। ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন।
শনিবার রাজধানীর কমলাপুরস্থ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত আইসিডির মেট শ্রমিক ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েও বাংলাদেশের বিজয় আটকাতে পারেনি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি মার্কিন -বৃটিশ বেনিয়াদের সহ্য হচ্ছে না। তারা টেনে ধরার ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি। অপপ্রচার চালিয়ে এ অগ্রগতি থামানো যাবে না। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু সংকট নেই। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৪তম অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশ হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মাসেতুর কানেক্টিং পয়েন্ট কমলাপুর ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) সংযুক্ত হলেও আইসিডি পরিচালনায় সমস্যা হবে না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে আইসিডি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হলেও শ্রমিকদের কাজের কোন সমস্যা হবে না। আমরা আরো আইসিডি প্রতিষ্ঠা করব। সে সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অহংকারের বিজয় অর্জন করেছে। সে বিজয় এবং অহংকার; অন্ধকারে হারিয়ে যায় স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশ বিবর্ণ হয়ে যায়। সারাবিশ্বে পরিচয় পায় ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বন্যাকবলিত বাংলাদেশ। দেশে দারিদ্র্যতা বিক্রি করে বিভিন্ন জন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। অথচ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দারিদ্র্য বিমোচন হয়নি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, আইসিডির ম্যানেজার আহমাদুল করিম এবং আইসিডির শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তুষার খান বাবুল।