South east bank ad

‘‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট” আয়োজনে সহযোগীতা করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

 প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রণালয়

‘‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট” আয়োজনে সহযোগীতা করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া ৭-দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ভার্চ্যুয়াল বাণিজ্য সম্মেলন ‘‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট” আয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। বাণিজ্য সম্মেলনটি সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত আয়োজন করতে যাচ্ছে। গতকাল ১২ই সেপ্টেম্বর ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এমপির সাথে একান্ত সাক্ষাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ আশ্বাস প্রদান করেন। 

মুজিব বর্ষ ও এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপনের অংশ হিসেবে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার যৌথভাবে ৭-দিনব্যপি এ সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি ২৬ অক্টোবর উক্ত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করতে ইতোমধ্যেই সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। 

‘‘আগামীর অর্থনীতির সাথে সংযোগ অথবা কানেক্টিং দি ইকোনমি অফ টুমরো” সম্মেলনটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি আকর্ষনীয় ও লাভজনক বিনিয়োগের স্থান হিসেবে তুলে ধরতে এবং বিভিন্ন বহুমুখী সম্ভাবনাময় খাতসমূহে সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশীয় ও বিদেশি বানিজ্য সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সম্মেলটি আয়োজন করা হচ্ছে। বিশেষত ৯টি প্রধান সম্ভাবনাময় খাত যেমন অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ও আইটিইএস ও ফিনটেক, চামড়াজাত পণ্য, ঔষধ, অটোমোটিভ ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক পণ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাট ও বস্ত্র, এফএমসিজি এবং রিটেইল ব্যবসাসমূহের বিদ্যমান সক্ষমতা ও ভবিষৎ সম্ভাবনা উক্ত সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে আলোচিত হবে। বিশ্বের ৫টি বৃহৎ অঞ্চল যেমন আমেরিকাস, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়া, এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক এবং আফ্রিকার ৫০টিরও অধিক দেশ থেকে শতাধিক ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান ৭-দিন ধরে দিনব্যপি চলা বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশনে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ৭টি বিষয়ভিত্তিক ওয়েবিনারেরও আয়োজন করা হবে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নের্তৃবৃন্দ, মন্ত্রী, নীতিনির্ধারক, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, গবেষক, অর্থনীতিবিদ, একাডেমিশিয়ান অংশগ্রহণ করবেন। দেশি বিদেশি প্রায় তিনশতাধিক ব্যাবসায়ীদের সাথে নিয়ে ১৬০টিরও অধিক বিটুবি সেশনের আয়োজন থাকবে এ সম্মেলনে।   

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এমপি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ডিসিসিআইকে সময়োপযোগী এই উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, কোভিডের কারণে বিশ্বে যখন কোন সম্মেলন স্বশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে হচ্ছেনা তখন বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে এতগুলো দেশের মাঝে ভার্চ্যুয়ালি তুলে ধরার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব বিবেচনায় এই সম্মেলটিকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতার আশ্বাস পুণঃব্যাক্ত করেন। তিনি বলেন, কোভিড থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ অর্থনীতিতে তার ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে। তিনি আরও বলেন শুধুমাত্র বিদেশি উদ্যোক্তাগণই নন বরং বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি ডায়াসপোরাও এ দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। ব্যবসা বানিজ্যের পরিবেশ বাংলাদেশে এখন যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ভাল তাই তিনি ব্যবসায়ীদের বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে এ বিষয়টিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। 

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, কোভিড অতিমারির সময়েও বাংলাদেশ ২০২১ অর্থবছরে ৫.৪৭% প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতের চাহিদার সাথে সমন্বয় করে ও পরিবর্তিত ভূ-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারের নেয়া বিভিন্ন নীতি সংস্কার এবং কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণের কারনে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের উপর আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি পরিশেষে এই সম্মেলনের জন্য তালিকাভুক্ত দেশসমূহের ব্যবসায়ীদের নিকট অংশগ্রহণের বার্তা পৌছে দিতে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহযোগীতা কামনা করেন।      
BBS cable ad