পিটার হাসের ঢাকা ত্যাগ ও অবস্থান নিয়ে অবগত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পিটার হাসের ঢাকা ত্যাগ ও অবস্থান সম্পর্কে অবগত আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন বলেছেন, আমরা অবশ্যই অবগত। একজন রাষ্ট্রদূত যখন যাবেন তখন তো অবশ্যই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়েই জাবেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন মহাপরিচালক।
রাষ্ট্রদূত বা বিদেশী মিশন প্রধানদের স্টেশন ত্যাগ করার ক্ষেত্রে প্রটোকল সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্রদূত বা মিশন প্রধানরা যখন স্টেশন লিভ করেন তারা কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে আমাদের প্রটোকলকে জানিয়ে যান, সেটা তাদের হেড কোয়ার্টারকেও জানাতে হয়। একইভাবে আমাদের রাষ্ট্রদূতরা যখন তার হোস্ট কান্ট্রি থেকে বাংলাদেশে আসেন তারাও একইভাবে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানোর পাশাপাশি ওই দেশের সরকারকেও কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে থাকেন, এবং তার অবর্তমানে যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকেন তার নামও কিন্তু প্রকাশ করে আসতে হয়। এটা একটা কূটনৈতিক প্রক্রিয়া।
পিটার হাসের ঢাকা ত্যাগ ও অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্যটি জনসম্মুখে জানাবে না যে একজন রাষ্ট্রদূত কবে থেকে কতদিন এবং কী উদ্দেশ্যে গিয়েছেন। কারণ এটা তিনি অফিসিয়ালি জানাচ্ছেন। এটা পাবলিকলি জানানোর কথা না। আপনারা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের কাছ থেকে জানতে পারেন। ওই দূতাবাসের একজন মুখপাত্র আছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ভাষ্যমতে, ভারতও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের ‘টু প্লাস টু’ সংলাপের ধারণাগত সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পরবর্তীকালে ২০১৮ সালেও এ সংলাপ হয়— এটা নিয়মিতই হয়েথাকে। ‘টু প্লাস টু’ সংলাপটি মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার সার্বিক দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্ম। সেখানে তাদের বিভিন্ন ধরনের এজেন্ডা থাকে— রাজনৈতিক থাকতে পারে, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নানান বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন। তাদের এজেন্ডার মধ্যে যে ইস্যুগুলো ছিল তারা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এ পর্যায়ে সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, তাদের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ পড়ে কিনা? জবাবে মহাপরিচালক বলেন, আমরা বলছি, আলোচনার মধ্যে রাজনৈতিক ইস্যু থাকে, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও উগ্র আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সব কিছুই থাকে। বাংলাদেশ এবং ভারত যেহেতু প্রতিবেশী রাষ্ট্র, সেখানে হয়তো সেই বেসিসে আলোচনাটা উঠে এসেছিল।