বরিশালে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ে বার্তা

বরিশালে গতকাল সোমবার পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ে বার্তা পাঠান এক ভদ্রলোক। ভদ্রলোক জানান, ‘কর্তৃপক্ষ কথা দিল, বাইরের জুতা নিয়ে হাসপাতালে ঢুকবে না স্টাফ ও ডাক্তার’ কিন্তু তারা তা মানছেন না।
এ ভদ্রলোক বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে জানান, বরিশাল মেট্টোপলিটন এলাকায় কিছু ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে আগত রোগীদেরকে বাইরের জুতা নিয়ে হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া না হলেও হাসপাতালের স্টাফ, নার্স ও ডাক্তারগণ ঠিকই বাইরে ব্যবহৃত জুতা নিয়ে হরহামেশা হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করছেন। এরমধ্যে খ্যাতনামা কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে।
তিনি লিখেছেন, “ রোগী ও স্বজনদেরকে ব্যবহৃত জুতা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়, কিন্তু তাদের জন্য ভিতরে কোনো জুতার ব্যবস্থা নেই। আবার, এও লক্ষ্য করলাম ডাক্তার এবং এখানকার স্টাফরা সবাই তাদের বাহিরের ব্যবহৃত জুতাই ভিতরে ব্যবহার করে। সরাসরি পায়ের জুতা নিয়েই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রবেশ করেন। প্রশ্ন হল যদি খালি পায়ে প্রবেশ করতেই হয় তাহলে তো সবার ক্ষেত্রেই একই নিয়ম হওয়া উচিত নয় কি? রোগীরা যখন খালি পায়ে প্রবেশ করছেন তখন প্রত্যেকে প্রত্যেকের দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার দিকে অনেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তাররা এবং স্টাফরা কিন্তু ঠিকই খালি পায়ে হাঁটছে না। এতে করে রোগীর সাথে আসা স্বজনরাও ঝুঁকিতে পড়ছে কি না?” তিনি এও উল্লেখ করেন যে, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোন সমাধানের ব্যবস্থা নেননি। এরফলে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও এখানে চিকিৎসা নিতে আসা নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ সব রোগীর বাড়তি স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
তাই এ বিষয়ে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে বার্তা পাঠান বরিশাল মহানগরীর এই সচেতন নাগরিক।
তার বার্তা পেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের এআইজি মো. সোহেল রানা বরিশাল কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক ও হাসপাতালের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। ভবিষ্যতে সবাই যেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের একটি প্রত্যক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করা হয়। আর এ অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এবং এ ধরনের কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে কর্মকর্তারা প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।