স্কটল্যান্ডকে ৬ উইকেট হারিয়ে ইতিহাস নামিবিয়ার

ইতিহাস গড়ে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এসেই বাজিমাত করেছে নামিবিয়া। প্রথমপর্ব অতিক্রম করে উঠে যায় সুপার টুয়েলভে। আর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে নেমেই পেয়েছে জয়ের দেখা। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছে ৪ উইকেটে। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৯ রানে থামে স্কটিশদের ইনিংস। জবাবে খেলতে নেমে ১৯.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নবাগত এই দলটি।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নামিবিয়ার শুরুটাও ছিল অনেক মন্থর। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ওপেনার ভ্যান লিনগেন করেন ১৮ রান। পরের উইকেটে ব্যাট করতে নেমে জানে গ্রিন করেন ৯ রান। আর অধিনায়ক জেরার্দ ইরাসমাসের সংগ্রহ মাত্র ৪ রান। আর আরেক ওপেনার ক্রেইগ উইলিয়াস করেছেন ২৩ রান।
খেলায় মাত্র ৬৭ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল নামিবিয়া। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ডেভিড ওয়াইস এবং জেজে স্মিট মিলে দলকে জয়ের বন্দরেই পৌঁছে দেন। এরপরও দুইটি উইকেট হারায় নামিবিয়া। ১৬ রানে ওয়াইস এবং ২ রানে ফেরেন ফ্রাইলিঙ্ক।
এদিকে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন স্মিট এবং ইয়া ফ্রান্স। ৩২ রানে স্মিট এবং শূন্যরানে ফ্রান্স অপরাজিত থাকেন।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রুবেন ট্রাম্পলম্যানের করা ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন স্কটিশ ওপেনার জর্জ মুনশি। ওই ওভারে আরও দুইটি উইকেট হারায় স্কটিশরা। তৃতীয় বলে ম্যাকলয়েড এবং চতুর্থ বলে আউট হন অধিনায়ক রিচি বেরিংটন। এই ৩জনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এরপর পাওয়ার প্লেতে আরও একটি উইকেট হারিয়েছে স্কটল্যান্ড। ষষ্ঠ ওভারের খেলায় ডেভিড ওয়াইসের করা বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ক্রেইগ ওয়ালস।
এরপর প্রথমে ম্যাথু ক্রসের সঙ্গে এবং পরে ক্রিস গ্রেভসকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নেন মিচেল লেস্ক। ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন ক্রস। এদিকে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকা লেস্ক আউট হওয়ার আগে মাত্র ২৭ বলে করেন ৪৪ রান। ম্যাথু ওয়াট ৩ রানে এবং গ্রেভস ২৫ রানে আউট হন।
আর শেষ পর্যন্ত খেলে গিয়ে ডেভয় ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
নামিবিয়ার পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানের খরচায় সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন ট্রাম্পলম্যান। এছাড়া ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে দুইটি উইকেট নেন জানে ফ্রাইলিঙ্ক।