দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস-পিও ও এনসিপি নেতাকে দুদকে তলব

স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসান এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করার অভিযোগ পোওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করেছে দুদক।
দুদক মহাপরিচালক আরও জানান, তিন জনকেই নিজেদের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে দুদকে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবিকে ও মাহমুদুল হাসানকে ২০ মে, এনসিপির সাবেক নেতা গাজী সালাউদ্দিনকে ২১ মে এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা সজীব ভুঁইয়ার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেমকে ২২ মে দুদকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন পদত্যাগ করেন। গত ২৫ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে দুদককে তদন্ত করার অনুরোধ জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আরেক পিও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তার নাম উঠে আসে।