শিরোনাম

South east bank ad

ফারইস্টের নজরুলের ২০০ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান দুদকের

 প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২১ পূর্বাহ্ন   |   দুদক

ফারইস্টের নজরুলের ২০০ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান দুদকের


ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের অন্তত ২০০ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রিমান্ডে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল ইসলাম নিজেই তার এসব সম্পদের তথ্য দেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুদকের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান এ তথ্য জানান। রাজধানীর বারিধারা, গুলশান, বসুন্ধরা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে এসব সম্পদ রয়েছে বলে জানান তিনি।


দুদকের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর বংশাল থেকে নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে দুদক। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


দুদক তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বারিধারায় ৮ কাঠা জমির ওপর ‘পুতুল হাউজ’ নামে একটি ট্রিপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে নজরুল ইসলামের। যা বিদেশিদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। গুলশান-১ নম্বর ভাসাবির পেছনে ৩ হাজার ২০০ বর্গফুটের একটি এবং বারিধারা ডিওএইচএসে ২ হাজার ৮৪১ বর্গফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। গুলশান-২ নম্বরে পাঁচ কাঠা জমির ওপর দোতলা একটি ভবন রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের ভূলতা গাউছিয়ায় এম এ খালেক ও আজহার হোসেনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘প্রাইম শপ’ নামে ১৮ কোটি টাকার একটি কোম্পানির সম্পদে তার অংশীদারত্ব আছে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কৃষিজমি ছাড়াও সব মিলিয়ে তার ২০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দুদকের কাছে তথ্য রয়েছে।


রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল ইসলাম দুদককে জানিয়েছেন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, ফারইস্ট ইসলামী সিকিউরিটিজ, ফারইস্ট ইসলামী প্রোপার্টিজ, সিভিসি ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্সসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন তিনি। এসব প্রতিষ্ঠানে তার শেয়ারমূল্য ২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ।

নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ২০১৫ সালে তিনি ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে ওয়েলিংটনে একটি বাড়ি কেনেন। তার আগের বছর ফারইস্ট ইসলামী লাইফের নামে রাজধানীর তোপখানা রোডে ২০৭ কোটি টাকায় জমি ক্রয়ের সময় ২৮ কোটি টাকা ভাগাভাগি হয়, যার মধ্যে নজরুল ইসলাম পান ৬ কোটি টাকা। তিনি জমি বিক্রেতা আজহার হোসেন খানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং তার কাছ থেকে নিজের হিসাবে ১০ কোটি টাকা ও স্ত্রীর হিসাবে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা স্থানান্তর করেন। এই অর্থ বিদেশে পাচার করে নজরুল ইসলাম মানি লন্ডারিং করেছেন বলেও মনে করছেন দুদক কর্মকর্তারা।
BBS cable ad

দুদক এর আরও খবর: