হেফাজতে ১৫ সেনা কর্মকর্তা
‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধানস্বীকৃত দেশের সব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’—এ কথা জানিয়ে মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন।
তিনি জানান, তিনটি মামলায় ২৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অবসরে ৯ জন, এলপিআরে একজন আর কর্মরত আছেন ১৫ জন।
তিনি বলেন, মেজর জেনারেল কবির আত্মগোপনে গেছেন।
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘গত ৮ অক্টোবর আইসিটিতে প্রথম দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর তৃতীয় আরেকটি চার্জশিট জমা পড়ে। এই সংবাদটি আসা শুরু করেছে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধানস্বীকৃত বাংলাদেশের সব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ তারিখে কর্মরত ১৫ ও এলপিআরে থাকা একজন সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য একটি আদেশ সংযুক্তি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আদেশে তাঁদের বলা হয়েছে, ৯ তারিখে তাঁরা যেন ঢাকা সেনানিবাসে সেনা হেফাজতে চলে আসেন। আমরা কিন্তু এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি বা পুলিশও আমাদের কিছু জানায়নি। এর পরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এসব কর্মকর্তাকে হেফাজতে আসার জন্য আদেশ দিয়ে দেয়।’
মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘আমরা যাঁদের হেফাজতে আসতে বলেছি তাঁদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই রেসপন্স করেছেন। ওই একজন কর্মকর্তা ৯ তারিখ পর্যন্ত কোনো রেসপন্স করেননি। পরে ১০ তারিখে আমরা তাঁর সঙ্গে আবার যোগাযোগের চেষ্টা করি এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করি। আমরা জানতে পারি, উনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন একজন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে। কিন্তু পরে আর বাসায় ফেরত আসেননি। এরপর তাঁর সঙ্গে এবং তাঁর পরিবারেরও মোবাইল ফোনে কোনো যোগাযোগ স্থাপন হয়নি। তিনি হলেন মেজর জেনারেল কবির।’
সিটিআইবি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক কবীর আহাম্মদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ইলিগ্যাল অ্যাবসেন্ট হিসেবে ঘোষণা করি। এরপর গত ১০ অক্টোবর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আরো কিছু অফিশিয়াল কাজ সম্পন্ন করি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলেছি, তোমরা যে যেখানে আছ স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে যেন উনি অবৈধভাবে দেশের বাইরে না যেতে পারেন। উনার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়ও আমরা লোক পাঠিয়েছি। উনি দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন—এ বিষয়টি মাথায় রেখেও আমরা খোঁজ নিয়েছি। উনি যাতে দেশের বাইরে না যেতে পারেন, সে জন্য আমি নিজে ডিজি ডিজিএফআই, ডিজি এনএসআই ও ডিজি বিজিবির সঙ্গে কথা বলেছি।’


