South east bank ad

কয়লাভিত্তিক ১০ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার : জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

 প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২১, ১০:৫২ অপরাহ্ন   |   মন্ত্রী

কয়লাভিত্তিক ১০ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত  নিয়েছে সরকার : জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
সময়মতো উৎপাদনে আসতে না পারায় কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎ প্রকল্প সরকার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির ক্ষেত্রে নতুন চিন্তাভাবনা এসেছে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা সময়মতো উৎপাদনে আসতে পারেনি। আজ রবিবার (২৭ জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যেগুলো সময়মতো উৎপাদনে আসতে পারেনি সেগুলো বাদ দেওয়ার জন্য ।



বাতিল হওয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো- পটুয়াখালী ২×৬৬০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, উত্তরবঙ্গ এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট সুপার থারমাল পাওয়ার প্লান্ট, মাওয়া ৫২২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রাম ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।

এ ছাড়া খুলনা ৫৬৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ৭০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সিপিজিসিবিএল-সুমিতোমো এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।

এর আগে দেশের ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েক বছর ধরে এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এগুলো বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছিল। এর পরিবর্তে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ব্যবহার বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

সূত্র জানায়, কয়লাভিত্তিক পায়রার এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বাংলাদেশ-চীনের যৌথ প্রকল্প এটি। এ ছাড়া রামপালের এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রামের এক হাজার ২২৪ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র, বরগুনার ৩০৭ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ীর এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং কক্সবাজারের এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাঠ পর্যায়ের কাজ এগিয়ে চলছে।

পায়রার আগে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৩ সাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে।

গতকাল শনিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বর্তমানে আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে কয়লা থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। এখন আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও পেট্রোলিয়াম ব্যবহারের পরিকল্পনা করছি। তবে এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কিভাবে চালু করা হবে, সেই পরিকল্পনা এখনো করেনি সরকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে। পরিবেশের ওপর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব একটি ইটভাটার প্রভাবের চেয়েও কম।

BBS cable ad

মন্ত্রী এর আরও খবর: