বন্দরে ‘ভিটিএমআইএস’ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বিডিএফএন লাইভ.কম
বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ১৩১ কিলোমিটার উজানে অবস্থিত মোংলা সমুদ্র বন্দর। তাই নিরাপদ নেভিগেশন সুবিধা এবং দীর্ঘ চ্যানেলে নিরাপত্তা প্রদান, নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলের জন্য ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম “ভিটিএমআইএইচ চালু করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৫টায় মোংলা বন্দরের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকায় নব নির্মিত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাওয়ারটি উদ্বোধন পরবর্তী সভায় প্রধান অতিথির বক্ততায় এসব কথা বলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চলমান প্রকল্প ও সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে অচিরেই মোংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের সমান সক্ষমতা অর্জন করবে।
এসময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নে ১৯ টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। আরো ৯ টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ‘ভিটিএমআইএইচ’ প্রকল্পের বাস্তবায়নের ফলে বন্দর সীমানায় আগত সমুদ্রগামী জাহাজসমূহ মনিটরিং করাসহ দক্ষতার সাথে হ্যান্ডলিং করার মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার মান উন্নীত করা, বন্দরে আগমন ও নির্গমনকারী সকল জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ করতে পারবে।
চ্যানেলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ, দুর্ঘটনাকবলিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা এবং দুর্ঘটনা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে।
ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ’ভিটিএমআইএস) প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রধান কাজ ছিল-হাইস্পিড বোট সংগ্রহ এবং ভিটিএমআইএস প্রবর্তন।
এজন্য ব্যয় হয়েছে ৫৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। হাইস্পিড বোট সংগ্রহে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা এবং ভিটিএমআইএস প্রবর্তনে ব্যয় হয়েছে ৪৪ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা।
প্রকল্পটি গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়। এর ফলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হারবাড়িয়া অ্যাংকরেজ ১০ মিটারের বেশি ড্রাফ্টযুক্ত জাহাজগুলি পরিচালনা করছে। গত কয়েক বছরে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রচণ্ড যানজটের কারণে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মা সেতু, খুলনা-মোংলা রেললাইন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও খান জাহান আলী বিমানবন্দর চালু হলেই মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি আরো ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।