জেল পালানো দুর্ধর্ষ বন্দিসহ ৭২৮ জন এখনো অধরা
২০২০ সালের ২৫ জুন শরীয়তপুরের জাজিরায় কিশোর শাকিল মাদবরকে অপহরণ করে সাকিব ওরফে বাবু ও তার সহযোগীরা। পূর্ব নাওডোবা হাজী কালাই মোড়লের কান্দিগ্রামের বাসিন্দা শাকিল ছিল অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এরপর দাবি করা মুক্তিপণ না পাওয়ায় শাকিলকে হত্যা করে মরদেহ নির্মীয়মাণ রেল সেতুর পাশে পুঁতে রাখে অপহরণকারীরা।
ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় বাবুকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
এর পর থেকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রাখা হয়।
গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরের দিন ওই কারাগার আক্রমণের শিকার হয়। এই সুযোগে পালিয়ে যায় দুর্ধর্ষ খুনি বাবু। গত ১৮ সেপ্টেম্বর পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ) তাকে গ্রেপ্তার করে।
এটিইউয়ের কর্মকর্তা ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালানোর ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কোনাবাড়ী থানায় মামলা করে। গ্রেপ্তার বাবুকে কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৬৩ জনসহ ৭২৮ জন এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
পলাতক এই বন্দিরা এখন নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আইজিপি বাহারুল আলম জানিয়েছেন, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮৮ জন গাজীপুরের কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। কারাগারটির সিনিয়র জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন কালের কণ্ঠকে জানান, এই কারাগার থেকে মোট ২০২ জন পালিয়েছিল। তাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি ৮৮ জন, সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন এবং বিচারাধীন ১০৩ জন।


