মুন্সীগঞ্জের জয়কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১
"মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে জহিরুল ইসলাম জয়কে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত ০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১"
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
২। এজাহার সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় পূর্ববিরোধের জেরে জহিরুল ইসলাম জয় (২৬) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয় । গত ২৬/১১/২৫ তারিখ রাত ০৮:৩০ ঘটিকার সময় উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক জয় চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের নুর জামান মিয়ার ছেলে। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য ও পূর্ববিরোধের জেরে চৌদ্দকাউনিয়ার নুর জামান মিয়ার পরিবারের সঙ্গে মো. হাসান ওরফে বেকু হাসান, নান্নু ও লালুদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে কয়েক দফায় হামলার শিকার হন নুর জামানের পরিবারের সদস্যরা। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটে। এ বিরোধের জেরে গত ২৬/১১/২৫ রাত ০৮.৩০ ঘটিকার দিকে চৌদ্দকাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে জয়ের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা জয়কে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। জয়ের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মৃত ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি ঘটার পরপরই বিভিন্ন টিভি এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
৩। নৃশংস এই হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করতে র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জের এর একটি আভিযানিক দল নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ রাত ০৭ ঘটিকা থেকে ০৯ ঘটিকা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় আসামি ১। আলাউদ্দিন (৬৫), পিতা-মৃত মাহমুদ হোসেন,০২। শাকিল (২৭), পিতা-আলাউদ্দিন, ০৩। জসিম (৪৫), পিতা-মৃত মাহমুদ হোসেন, সর্ব সাং-হোগলাকান্দি, সর্ব থানা-গজারিয়া, জেলা-মুন্সীগঞ্জ'দের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


