শিরোনাম

South east bank ad

৫ দিনের রিমান্ডে ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৩ জন

 প্রকাশ: ২৩ অগাস্ট ২০২১, ০৬:১৬ অপরাহ্ন   |   বিচার বিভাগ

৫ দিনের রিমান্ডে ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৩ জন
প্রতারণা করে গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ ৩  জনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

আজ সোমবার ২৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি হলেন-ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহ।
গত ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ৩ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে তাদের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত ১৬ আগস্ট সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। এসময় প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন  উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।

মামলা দায়েরের পরই গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর ১৮ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়।

গত ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার ৩ জনকেই রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন বাদী তাহেরুল। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে, সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১-এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না।

মামলার বাদী তাহেরুল বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না, বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করে প্রতিষ্ঠানটি।
BBS cable ad