সিন্ডিকেটে পাশ হওয়ার পরও পরিবহন ফি নেওয়ায় রাবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

রাজশাহী ব্যুরো:

করোনা মহামারীতে প্রায় দেড় বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের নতুন বর্ষের ভর্তি শুরু হয়েছে। করোনাকালীন সময়ের ১৮ মাসের পরিবহন ও হল ফি সিন্ডিকেট সভায় মওকুফ হলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিবহন ফি নেওয়া হচ্ছে। পাঁচ দিন আগে পাশ হওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেক শিক্ষার্থী।  

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা সিন্ডিকেট সভার অপেক্ষায় ছিলেন। এই সভায় হল ও পরিবহন ফি মওকুফ হলে তাদের অনেক সুবিধা হবে। সিন্ডিকেট সভায় এই দুই ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত হলেও সেটি কার্যকর হচ্ছে না। এতে যেসব বিভাগের ভর্তির স্বাভাবিক তারিখ শেষ হয়েছে তাদের ৫০ টাকা জরিমানা দিয়ে ভর্তি হতে হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে ৫০৬তম সিন্ডিকেট সভায় ১৮ মাসের পরিবহন ও হল ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নতুন বর্ষে ভর্তি হওয়ার সময় তাদের কাছ থেকে এখনো পরিবহন ফি হিসাবে ৩ শত ৬০ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যাদের পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আগেই টাকা নেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রিমন আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার অপেক্ষায় ছিলাম সেখানে হয়ত আমাদের পরিবহন ও হল ফি মওকুফ হবে। সেটিও হলো কিন্তু গত ৫ দিনেও ওয়েবসাইট আপডেট হয়নি। এতে ফি কমার পরিবর্তে বরং জরিমানা দিয়ে ভর্তি হলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ রহমান বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর আমাদের ভর্তির শেষ দিন ছিলো। তবে অপেক্ষায় ছিলাম যদি কিছু টাকা কম হয় সেটি আমার জন্য ভালো। কারণ করোনায় পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে। কিন্তু টাকা কমলেও সোমবার শেষ তারিখে ভর্তি হলাম কিছু টাকা জরিমানা দিয়ে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি দপ্তরের পরিচালক বাবুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের আগে অনেক বিভাগের ভর্তির সময় তাদের কাছ থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তাই এখন আর ওয়েবসাইট আপডেট করা সম্ভব নয়। কারণ এতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একই বছর দুইভাবে ফি আদায় করা হবে। তবে এখন যারা বেশি টাকা দিচ্ছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েল সিন্ডিকেট সভায় যেসব ফি মওকুফ করা হয়েছে সেগুলার টাকা আর নেওয়া হবে না। আমার চিঠি ইস্যু করেছি। দ্রুতই ওয়েবসাইট আপডেট করা হবে।