South east bank ad

সহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা গড়তে সম্মিলিত উদ্যোগ ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী

 প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২১, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রী

সহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা গড়তে সম্মিলিত উদ্যোগ ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
কোভিড ১৯ মহামারি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে আরো ঝুকিতে ফেলেছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, সংঘাত, অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক মন্দাসহ আরও অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোগ সকল পর্যায়ে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা গড়তে সদস্য দেশসমূহের সম্মিলিত উদ্যোগ ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি ইটালির রোমে অনুষ্ঠিত ৩ দিনব্যাপী জাতিসংঘের ফুড সিস্টেম প্রি-সামিটের দ্বিতীয় দিনে “বিল্ডিং রিজিলিয়েন্স টু ভালনারাবিলিটিস, সক এন্ড স্ট্রেস” শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন। 

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবকে অতিক্রম করে দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জল ও খাদ্য সুরক্ষার পাশাপাশি পরিবেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়নে করা হচ্ছে। এর ফলে চরম দারিদ্র দূরীকরণ এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। 

খাদ্যমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষি ও ফুড সিস্টেম ট্রান্সফর্মেশনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ উন্নয়নশীল দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) নেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় নেতৃস্থানীয় দেশ। এসময় তিনি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি ও খাদ্য খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ, গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়ানোর আহবান জানান। 

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদাউ তানগারা, স্পেনের স্পেশাল অ্যাম্বাসাডর ফর ফুড সিস্টেম গ্যাব্রিয়েল ফেরেরো এবং নিউজিল্যান্ডের কৃষি,বায়োসিকিউরিটি এবং রুরাল কমিউনিটি মন্ত্রী ড্যামিয়েন ও’কনোর প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্বের ১৪৫ টির বেশি দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীবর্গ, গবেষক, কৃষক প্রতিনিধি, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
BBS cable ad

মন্ত্রী এর আরও খবর: