চাকরিচ্যুতির বিধান রেখে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি

সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার। রবিবার (২৫ মে) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (মে ২২) উপদেষ্টা পরিষদের ২৯তম বৈঠকে এ অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাদেশে অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়। সেগুলো হলো— সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে; অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন; এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
এসব অপরাধের শাস্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া, চাকরি হতে অপসারণ বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দণ্ড দেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর বিক্ষোভ করে আসছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর মধ্যেই অধ্যাদেশ জারি করলো সরকার।