২০২৬ সালে ঐচ্ছিক ছুটি—৫, ৯, ৮, ৭ ও ২ দিন
২০২৬ সালে ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী বছর ২৮ দিন ছুটি পাবে সরকারি চাকরিজীবীরা। যদিও এর মধ্যে ১১ দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। এই ২৮ দিনের মধ্যে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি রয়েছে।
এ ছাড়া ধর্মভিত্তিক ঐচ্ছিক ছুটি রাখা হয়েছে। মুসলিম কর্মচারীরা নিতে পারবেন ৫ দিন, হিন্দু ধর্মের কর্মচারী ৯ দিন, খ্রিস্টান ধর্মের জন্য ৮ দিন, বৌদ্ধ ধর্মের জন্য ৭ দিন, আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ২ দিন।
গতকাল রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই প্রজ্ঞাপন জারি করে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ওই প্রজ্ঞপনে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয় সহকারী সচিব এ বি এম আবু বাকার ছিদ্দিক।
তবে একজন কর্মচারী তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি পাবেন। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে।
ঐচ্ছিক ছুটিগুলোর মধ্য মুসলিম পর্বে রয়েছে, শবে মিরাজ, ঈদুল ফিতর (ঈদের পরের তৃতীয় দিন), ঈদুল আজহা (ঈদের পরের চতুর্থ দিন), আখেরি চাহার সোম্বা ও ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।
হিন্দু পর্বে রয়েছে, শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা, শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রত, দোলযাত্রা, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, মহালয়া, শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী), শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা ও শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা।
এদিকে খ্রিস্টান ধর্মের পর্বে রয়েছে সাত দিনের ঐচ্ছিক ছুটি। তা হলো ইংরেজি নববর্ষ, ভস্ম বুধবার, পুণ্য বৃহস্পতিবার, পুণ্য শুক্রবার, পুণ্য শনিবার, ইস্টার সানডে ও যিশু খ্রিষ্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের পূর্বের ও পরের দিন)।
৫৩৪৬৫৪


