রামপুরা পুলিশ বক্সে সাংবাদিককে হেনস্তা
রাজধানীর রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হেনস্তার শিকার হয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ২৪.কমের সিনিয়র মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তোফায়েল আহমেদ। তাঁকে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে নিয়ে হেনস্তা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তোফায়েলের অভিযোগ, মতিঝিল বিভাগের রামপুরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মেহেদী হাছান তাঁকে ‘নেক্সট টাইম পেলে লটকে রাখার’ হুমকি দিয়েছেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাছান।
পরে অবশ্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পর রামপুরা ব্রিজের সামনে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় তোফায়েলকে থামায় ট্রাফিক পুলিশ। তখন মোটরসাইকেলের কাগজপত্র নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাঁকে ট্রাফিক বক্সে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আমার গাড়ির কাগজপত্র অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে।
আমাকে ট্রাফিক পুলিশ থামানোর পর তারা গাড়ি থেকে চাবি নিয়ে নেয়। এরপর আমাকে বলা হয়, ট্রাফিক বক্সের মধ্যে এসি (সহকারী কমিশনার) আছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি আমাকে ১০ মিনিট গালাগাল করেন। এরপর টিআইও আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন, যা পুলিশ বক্সের সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড আছে।
এরপর এসি বলেন, ‘ওর গাড়ির চাবি দিয়ে দাও, নেক্সট টাইম ওকে পেলে ওর গাড়িসহ লটকাইয়া রাখবা।’”
তোফায়েল বলেন, ‘যখন এ কথা বলে তখন আমি আমার মোবাইল ফোন বের করে ভিডিও করতে গেলে আরেকজন আমার হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেন।’ তোফায়েলের সঙ্গে এ আচরণের খবর শুনে সেখানে ছুটে যান তাঁর সহকর্মীরা। তখন সহকর্মীরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন এসি হাছান। তিনি দায়িত্ব পালনের স্বার্থে সামান্য উচ্চবাচ্য করার কথা বলেন।
এ সময় সেখানে ফোন করেন ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ট্রাফিক পুলিশের কোনো কর্মকর্তার অপরাধ হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।


