সাময়িক বরখাস্ত হওয়া লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপদে বহাল!

আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, দুর্ব্যবহার, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকিও দিয়েছেন মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন অভিযোগ দায়ের করেন। চেয়ারম্যান ফারুক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে আর্থিক বিষয়ে অনৈতিক দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন। এমন অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছিলেন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান। গত ৩০ নভেম্বর অসদাচরণসহ ছয়টি কারণ উল্লেখ করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। চেয়ারম্যানের এসব কার্যকলাপ রাষ্ট্র বা উপজেলা পরিষদের স্বার্থের পরিপন্থি। তাই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ সালের এবং সংশোধিত আইন ২০১১ এর ১৩(খ)(১) ধারা অনুসারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওই পদে সব কার্যক্রমসহ আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয় উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানকে। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান চিত্ত রঞ্জন সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার (১ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মমতাজ বেগম স্বাক্ষরিত পত্রে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে স্বপদে বহাল রাখার নির্দেশনা দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আদিতমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনসহ ১৮ জন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়টি বিষয়ে অভিযুক্ত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে গত বছরের ৩০ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব নুমেরী জামান।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরেলা আখতারের সঙ্গে অশোভন আচরণ প্রদর্শন করেন। চেয়ারম্যানের এমন কর্মকাণ্ডে উপজেলার কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করে জনস্বার্থ মারাত্মভাবে বিঘ্নিত হতে পারে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো পত্র আমার হাতে পৌঁছায়নি। তবে চিঠি আসলে সেই চিঠির আলোকে আবারও মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হবে। এরপর স্ব-পদে বসতে পারবেন চেয়ারম্যান।