South east bank ad

নাটোরে পুলিশ পরিদর্শক পরিচয়ে শিক্ষকদের কাছে চাঁদা দাবি

 প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ

নাটোরে পুলিশ পরিদর্শক পরিচয়ে শিক্ষকদের কাছে চাঁদা দাবি
মো: রবিউল ইসলাম, (নাটোর) :

নাটোরের সিংড়ায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। 

উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন প্রধান শিক্ষকের নিকট চাঁদা দাবি করা হয়েছে। ইতি মধ্যে চারজন শিক্ষক ওই প্রতারককে তার দেয়া বিকাশ নম্বরে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে প্রতারিত হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিংড়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষককে (০১৮৯০৯৮০৪৩৫) নম্বর থেকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নিজেকে সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করেন ওই প্রতারক। এসময় প্রতারক শিক্ষকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মাদক মামলায় আসামী করার হুমকি দিয়ে ১৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। এতে ভীত হয়ে ৪ জন প্রধান শিক্ষক ( ০১৩১৬১১৬১৮৪) প্রতারকের বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার করে টাকা দেন। পরে তাঁরা জানতে পারে এটি প্রতারক চক্রের কাজ।

প্রতারক চক্রকে ১৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন চৌগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃঞ্চপদ কর্মকার, বড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খসরুজ্জামান, বিলচলন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহুরুল ইসলাম ও জয়নগর তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী বড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খসরুজ্জামান বলেন, মোবাইল ফোনে আমাকে কল দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পরিচয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং চাঁদা দাবি করে, আমি ভীত হয়ে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি।

উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বামিহাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর কাদির বলেন, আমাদেরকে প্রতারক চক্র মোবাইল ফোনে কল দিয়ে চাঁদা দাবি করে। ৪ জন শিক্ষক ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে। আমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, গোলাম মোস্তফা নামে সিংড়া থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নেই। যিনি কর্মরত তার নাম রফিকুল ইসলাম। এটা প্রতারক চক্রের কাজ। মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
BBS cable ad