স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা আমরা দেখেছি। কেউ একজন হুঙ্কার দিলো বা হুইসেল দিলো, দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো! এমনটি হয়নি।

গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই ও ল্যাপটপ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি বিকৃত ইতিহাস একসময় শিশু-কিশোরদের কাছে প্রচার করা হচ্ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সঠিক ইতিহাস শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরছেন। ইতিহাস কাউকে কোনোদিন ক্ষমা করে না। যে অন্যায় করে, কোনো না কোনোদিন তা প্রকাশ পায়।

তিনি বলেন, ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে স্বাধীনতার পতাকা ওড়েনি। ৭ মার্চের ভাষণ বদলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২৫ মার্চ আসছে আমাদের সামনে, সেই কালরাত। সেই রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেদিন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত ৩০ লাখ বাঙালি শাহাদত বরণ করেছিলেন। এত রক্ত স্বাধীনতার জন্য কোনো দেশ দেয়নি। রক্তে রঞ্জিত হয়নি এমন কোনো গ্রামের নাম কেউ বলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু কীভাবে হলেন, বাংলাদেশ কীভাবে হলো তা জানার জন্য এই বইটি (অসমাপ্ত আত্মজীবনী) পড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী করছেন এবং ভবিষ্যতে কী পরিকল্পনা রয়েছে তা সভায় উপস্থিত শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরেন তিনি।