South east bank ad

নুর আলম হত্যায় আরও চারজনকে আটক করেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ

 প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২১, ০৮:১২ অপরাহ্ন   |   থানার কথা

নুর আলম হত্যায় আরও চারজনকে আটক করেছে  সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় নূর আলম (১৮)-কে হত্যার দায়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। নূর আলম সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের দর্পগ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
নুর আলমকে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরেই হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া আসামী কামরুল ইসলাম (২১) সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেলাল আহমেদের আদালতে গত ৫ জুন শনিবার বিকেলে স্বীকারোক্তি মূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
আসামী কামরুল ইসলাম উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের গুলফর আলীর ছেলে। 
দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ জানায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার পশ্চিম বাংলাবাজারে নুর আলমের পরিবারের রেস্তোরাঁ ব্যবসা রয়েছে। নুর আলম ওই রেস্তোরাঁ দেখাশোনা করতেন।
গত বৃহস্পতিবার ৩ জুন ২০২১ইং রাতে নূর আলম দোকানেই ছিলেন। রাত ১১টার দিকে এলাকার এক যুবক তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তিনি আর ফিরে আসেননি। সকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের পাশের একটি ডোবায় নুর আলমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নূর আলমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। 
এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে।দোয়ারাবাজার লক্ষীপুর ইউনিয়ন জিরারগাঁও গ্রামের নুর আলম হত্যা মামলার আসামি সুজন মিয়া, সুজন মিয়ার স্ত্রী রুবিনা বেগম, একই গ্রামের মমশর আলীর দুই ছেলে ওসমান গনি এবং ওমর আলীকে গ্রেফতারের আগে রিমান্ড প্রতিবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। 
ওসি নাজির আলম বলেন, আসামী কামরুল ইসলাম জবানবন্দিতে জানায়, আসামী সুজন মিয়ার স্ত্রী রুবিনা বেগমের সঙ্গে নিহত ব্যবসায়ী নূর আলমের দীর্ঘদিন প্রেমের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। তার স্ত্রীর সঙ্গে নূর আলমের সম্পর্ক জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার ৩ জুন রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী নূর আলমকে রেস্তোরা থেকে ডেকে নিয়ে যায় কামরুল ইসলাম। 
তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে নূর আলমের মৃত্যু হয়। পরে নূর আলমের মৃতদেহ গ্রামের পাশের জমিতে ফেলে যায়। পরে গত শুক্রবার সকালে গ্রামের পাশে জমি থেকে নূর আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 
নূর আলম হত্যার ঘটনায় গত শনিবার নূর আলমের বড় ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এর আগে নূর আলমকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত শনিবার ৫ জুন সকালে কামরুল ইসলামকে সিলেট শহরের কদমতলী এলাকা থেকে এবং অন্যদের লক্ষীপুর থেকে আটক করে থানা পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে অন্য আরও কেউ জড়িত আছে কিনা এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

BBS cable ad

থানার কথা এর আরও খবর: