থানায় হামলা: ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুর করে ছিনিয়ে নেওয়া দণ্ডিত দুই আসামির মধ্যে বেলাল হোসেন নামে একজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার জোংরা ইউনিয়নের মমিনপুর এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি বেলাল হোসেন (২৮), উপজেলার রাধানাথ এলাকার সহর উদ্দিনের ছেলে জুলফিকার আলী (২৩), পাটগ্রাম পৌরসভার উত্তর সোহাগপুর এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম (৩৮), একই এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে লাজু মিয়া (৩০) ও বেংকান্দা এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩)।
পাথর কোয়ারির রয়ালিটির নামে গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে বুধবার রাতে সোহেল ও বেলালকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস। পরে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালাযনো হয়। এসময় পুলিশসহ ২৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পার্শ্ববর্তী হাতীবান্ধা থানা পুলিশ রওনা দিলে তাদের থানাও অবরুদ্ধ করা হয়। এ ঘটনায় উভয় থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
দুই মামলায় ছিনিয়ে নেওয়া দুই আসামিসহ ১৪জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ইতোমধ্যে কয়েকজন নেতাকর্মীকে বহিষ্কারও করেছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের দলের সংশ্লিষ্ঠতা নেই বলেও দাবি করেছে বিএনপি। এনসিপির সংগঠক সারজিস আলম উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে দায়ী করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে বিএনপি।
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, থানায় হামলা ও ভাঙচুর করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২৭ জনের নামসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে অপর আসামি সোহেল রানা এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছিনিয়ে নেওয়া দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।