আগ্নেয়াস্ত্রের নতুন লাইসেন্স বন্ধ : জেলা প্রশাসক শারমিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে ভাবেই হোক নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে- এমন কঠোর অবস্থান জানালেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, জেলার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসন কোনো ধরনের ছাড় দেবে না।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। এ সময় সাম্প্রতিক সময়ে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন এবং জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিই এখন প্রশাসনের প্রধান মনোযোগ।
জানা যায়, ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হিসেবে গঠিত হয়। এরপর একই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রথম জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে যোগ দেন মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি ছিলেন নবগঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম জেলা প্রশাসক। সেই ১৯৮৪ সাল থেকে ২০২৫ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিন যুগের বেশি সময় পেরিয়ে এবারই শারমিন আক্তার প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার বলেন, জেলার তিনটি উপজেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় অবৈধ অস্ত্র ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন করে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ইতোমধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, মতবিনিময় সভায় জেলার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার নানা দুর্বল দিক নিয়েও কথা বলেন জেলা প্রশাসক। তিনি সদর হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা পর্যায়ক্রমে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান। চিকিৎসক সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের নির্ধারিত সময় কর্মস্থলে থাকতে বাধ্যতামূলক নিয়ম কার্যকর না হওয়ায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না- যা স্বাস্থ্যসেবা খাতে বড় সংকট সৃষ্টি করছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন। সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রঞ্জন চন্দ্র দে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এহসান মুরাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মো. ইসতিয়াক ভুঁইয়াসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।


