শিরোনাম

South east bank ad

অফিসকক্ষ বরাদ্দ চেয়ে ৩০ মন্ত্রণালয়ের চিঠি

 প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রণালয়

অফিসকক্ষ বরাদ্দ চেয়ে ৩০ মন্ত্রণালয়ের চিঠি

এক আদম ব্যবসায়ীকে আর্থিক সুবিধা দিতে ২০১২ সালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিবালয়ের বাইরে রাজধানীর ইস্কাটনের ‘বোরাক টাওয়ারে’ স্থানান্তর করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ও তাঁর মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অভিযোগ আছে, ভবনের মালিক ও নিজে আর্থিক লাভবান হতে এ ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতির তোয়াক্কা করেননি খন্দকার মোশাররফ। এ কারণে এই মন্ত্রণালয়ে অদ্যাবধি পুলিশি নিরাপত্তা দেয়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে ভবনের চারটি ফ্লোরের ভাড়াবাবদ প্রতি মাসে সরকারকে বাড়তি গুনতে হচ্ছে প্রায় ২৬ লাখ টাকা।
সে হিসাবে বছরে খরচ হচ্ছে অন্তত তিন কোটি ছয় লাখ টাকা।

সরকারের ব্যয় সাশ্রয় করতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর গত ৪ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে জায়গা চেয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আধা-সরকারিপত্র (ডিও) দেয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়টির অনুমোদিত ১৫০ জনবলের জন্য সচিবালয়ের নবনির্মিত ভবনে ৩০ হাজার বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, এই মন্ত্রণালয়ের বেশির ভাগ কাজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট হওয়ায় সচিবালয়ের ভেতরে স্থানান্তর করা অত্যাবশ্যক।
এটি করা হলে সরকারের প্রতিবছর সাশ্রয় হবে তিন কোটি ছয় লাখ টাকা। কিন্তু এখনো জবাব মেলেনি আবেদনের। শুধু প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় নয়, এ ধরনের অন্তত ৩০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অফিসকক্ষের জন্য জায়গা বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে। নিজ দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অফিস বরাদ্দ চেয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ডিও দিয়েছেন অন্তত চারজন উপদেষ্টা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আটজন সচিব।

BBS cable ad