নিখোঁজের ১৮ দিন পর নয়নকে ফিরিয়ে দিলেন এসআই মোতালেব

নুর উদ্দিন সুমন, (হবিগঞ্জ):
নিখোঁজ হবার ১৮ দিন পর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার এসআই আব্দুল মোতালেব এর তৎপরতায় পরিবারের কাছে ফিরলো নয়ন (১২) নামে এক কিশোর।
নয়ন চুনারুঘাট উপজেলার ৯নং রানিগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম পীরেরগাও এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। গত ৮ মার্চ সকালে বাড়িতে কোন কিছু না বলে নিজ বাড়ী থেকে বের হয়ে সিলেট চলে যায় নয়ন।
নিখোজের ৫ দিন অতিবাহিত হলে খোঁজাখোঁজি করে ঘটনার ৬ দিন পর নয়নের বড় বোন নাছিমা বেগম থানায় নিখোঁজ ডাইরী করেন। যাহার ডাইরি নং ৮৪৩।
বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ওসি মো: আলী আশরাফ থানার এস,আই আব্দুল মোতালেবকে দায়িত্ব দেন। এর আগে ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা নিখোঁজের সংবাদ করলে ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
বিষয়টি নজরে আসে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: জাকির হোসেনের। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চুনারুঘাট থানাকে নির্দেশ দেন। এর পর পরেই কিশোরের সন্ধানে মাঠে নামেন এসআই আব্দুল মোতালেব।
তিনি বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ ও খুঁজাখুঁজি করে অবশেষে নয়নকে সিলেটের শিবগঞ্জ বাজার তামাবিল রোড থেকে উদ্ধার করেন। এদিকে উদ্ধার হওয়া পর কিশোর নয়ন জানিয়েছে তাকে অপহরণ করা হয়নি।
বাড়ি থেকে পরিবারকে না জানিয়েই কাজের সন্ধ্যানে সিলেট গিয়েছিল। বিষয়টি রবিবার সকালে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আলী আশরাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিশোরের বড় বোন জিডি করলে আমরা আমলে নিয়ে তার খোঁজ করি।
কিন্তু কোন ফোন না থাকায় আমরা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এস আব্দুল মোতালেব ,সোর্স লাগিয়ে তাকে খুঁজে পাই বলে জানান তিনি। শনিবার রাত ১০ টায় বড় ভাই কাউছার ও বোন নাছিমার নিকট নয়নকে হস্তান্তর করেন এসআই আব্দুল মোতালেব।
নয়নের পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই আব্দুল মোতালেব জানান, নয়ন এক সময় মাদ্রসায় লেখাপড়া করতো এখন সে লেখা পড়া ছেড়ে দিয়ে গত কিছুদিন পুর্বে চুনারুঘাট স্থানীয় একটি গ্যারেজে কাজ শিখতে যায়।
কিন্তু গ্যারেজ মালিক তাকে কাজে রাখবেনা জানালে গ্যারেজ থেকে বিদায় নিয়ে সিলেট চলে যায়। এ বিষয়টি পরিবারের কাউকে জানায়নি নয়ন। সিলেট যাওয়ার পাঁচদিন পর তারা গ্যারেজে খুঁজতে এসে দেখেন নয়ন নেই।
ছোটভাই নয়নকে ফিরে পেয়ে নাছিমা বেগম জানান, পুলিশের আন্তরিকতায় আমার ভাইকে আমরা খুঁজে পেয়েছি এজন্য তিনি বিচারক মো: জাকির হোসেন, থানার ওসি ও এসআই আব্দুল মোতালেবকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।