শেরপুর সীমান্তে ২১ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিল বিএসএফ

শেরপুর সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২১ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে (পুশ-ইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১টার দিকে উপজেলার হাতিপাগাড় বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন নাকুগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে তাদের ঠেলে পাঠায় ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখেন। তাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক পাঁচজন পুরুষ, পাঁচ নারী ও ১১ শিশু রয়েছে।
গতকাল সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ৩৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান। এর আগে ১১ জুলাই একই উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১০ জনকে ‘পুশ-ইন’ করে বিএসএফ।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন সাব্বির (৪০), শামসুল আলম (৪৩), রোমানা বেগম (২৪), ত্বোহা (৯), নূর তাজোল (৪), রিয়াজ (৪), আরমান (১), রবি খানম (২৪), হাসিনা বেগম (২২), শাহিনা আক্তার (৩), শুকতারা (৪ মাস), সেতারা বেগম (৩৫), বোরহান (৮), হাতেমা বেগম (৪০), নুরুল আবসার (১৭), জিন্নাত আরা (১৫), নুরুল ইসলাম (১৩), সিরাজ (১১), আজিজুল ওসমান (৯), আয়েশা বিবি (৬)। অন্যজন বাকপ্রতিবন্ধী।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১টার দিকে হাতিপাগাড় বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন নাকুগাঁও সীমান্তের ১১১৬ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে এসব রোহিঙ্গাকে ‘পুশ-ইন’ করে বিএসএফ। পরে বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে রাখে।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আটক রোহিঙ্গারা ছয়টি পরিবারের সদস্য। তারা ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে যান। তারা সেখানে শ্রমিক হিসেবে হোটেল ও বাসায় কাজ করেন। এক মাস আগে ভারতীয় পুলিশের অভিযানে তাদের আটক করা হয়। তখন তারা কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দেয়। ভারতীয় পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদের মেঘালয়ের ডালু সীমান্তে কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে হস্তান্তর করে। পরে নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার ৩ নম্বর সীমান্ত গেট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান জানান, পুশ-ইন হওয়া আটককৃতদের নাকুগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানা গেছে। তাদের বিষয়ে আরো যাচাই-বাছাই এবং পরবর্তী কার্যক্রমের প্রক্রিয়া চলছে।